Posts

Image
শ্রীশ্রী মহা-সংকীর্ত্তন সঙ্গীতে ব্যবহৃত কিছু কিছু শব্দার্থ নিম্ন বর্ণিত হল ------- প্রথমাংশ ১ । অনর্পিত প্রেমধন --- সত্য, ত্রেতা,এবং দ্বাপর এই তিন যুগ ব্যাপী শুধু অস্ত্রে এবং নামাস্ত্রে ভক্তদের উদ্ধার করা হত। প্রেম গোলকে অনর্পিত ভাবে গোপন ছিল। মহাপ্রভু গৌরাঙ্গদেব গোপনে গচ্ছিত থাকা সেই প্রেম, নামের সঙ্গে মিশিয়ে, জীব উদ্ধারের সহজ ও সরল পন্থা হিসাবে বিতরণ করেছিলেন। ২ । অনুক্ষণ --- সর্বদা, সর্বক্ষণ নিরবধি । ৩ । সম্বল --- সংস্থান, পাথেয়, অবলম্বন, পারের কড়ি। ৪ । সঙ্গতি --- শক্তি, সামর্থ্য। ৫ । নিদানে --- শেষ সময়ে, অন্তিম অবস্থায়। ৬ । ভবার্নবে --- সংসার সাগরে। ৭ । হরের নাম কেবলং, হরের নামৈব কেবলং --- হরিরনামই একমাত্র ভরসা +সহায়। ৮ । গতিনাস্ত্যেব --- অন্যগতি নাই। ৯ । নাস্ত্যেব --- নাই। ১০ । মর্মার্থ --- গুড় রহস্য, মুলঅর্থ। ১১ । রসনা --- জিহ্বা, রস আস্বাদনকারী ইন্দিয়। ১২ । পুষ্পবন্ত যুগ --- সুযোগ্য সুযোগ সম্পন্ন যুগ, সোনায় সোহাগা পূর্ণ যুগ। ১৩ । মোক্ষধাম --- মুক্তিপুরী মুক্তি ধাম। ১৪ । অনর্পিত ---অর্পণ করা হয়নাই এমন, অঅর্পিণীয়। ১৫ । খাস ভাণ্ডার --- স্বকীয় আগার, নিজস্ব গুদাম। ১৬ । চরিং চিরাৎ
Image
  গুরুচাঁদ ঠাকুর ( একটি তথ্যবহুল সংক্ষিপ্ত জীবনী )   গুরুচাঁদ ঠাকুর   জন্মঃ - ১৮৪৬ সালের ১৩ই মার্চ ; জন্মস্থানঃ - বর্তমান বাংলাদেশের ওড়াকান্দী গ্রাম , কাশিয়ানী , গোপালগঞ্জ , বাংলাদেশ। পিতাঃ - হরিচাঁদ ঠাকুর মাতাঃ - শান্তি মাতা। ঠাকুরদাঃ - যশোমন্ত ঠাকুর। গুরুচাঁদ ঠাকুরের বয়স যখন সাত বছর পূর্ণ হয় , তখন তাঁর পিতা হরিচাঁদ তাঁকে বোঝান যে , আমাদের সমাজে তো তেমন কোন বিদ্যা শিক্ষা নেই। তাই - আমার প্রাণের ইচ্ছা তোমাকে পড়াই। বিদ্যার অমূল্য মূল্য জগতে শিখাই। ( গু . চ . পৃঃ ৩৯ ) গুরুচাঁদ শিক্ষা গ্রহণে রাজি হয়ে যান। আর পাঠশালার শিক্ষা গ্রহন করা জন্য পদ্মবিলার সাধু দশরথের কাছে শিক্ষা গ্রহণ শুরু করেন। এর পর মল্লকান্দী গ্রামে গোলকের বাড়িতে থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। এইভাবে তিন বছর শিক্ষা গ্রহণের পরে তিনি ওড়াকান্দীতে ফিরে আসেন। কিন্তু ওড়াকান্দীতে কোন উচ্চবর্ণীয়দের স্কুলে ভর্তি হতে পারেননা। কারণ তিনি তো পতিত অস্পৃশ্য নিচু জাতির লোক। উচ্চবর্ণীয়রা তাঁকে শিক্ষার অধিকার কেন দেবে ?